হজে যেতে হলে শারীরিকভাবে সক্ষম হতে হবে, ফিটনেস সার্টিফিকেট লাগবে। শারীরিকভাবে অক্ষমদের ফিটনেস সার্টিফিকেট না দিতে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ফেয়ার-২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দিয়েছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কেবল শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তিদেরকেই হজের জন্য নিবন্ধন করাতে হবে। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে কাউকে হজে নেয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘অসুস্থ ও শারীরিক সক্ষমতা নেই, এরূপ ব্যক্তিদেরকে হজে নেয়া হলে সরকারকে বিব্রত হতে হয়, নানারূপ বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এজন্য শারীরিকভাবে অক্ষম ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে হজের জন্য ফিটনেস সার্টিফিকেট না দেয়ার জন্য সিভিল সার্জনদেরকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ও শারীরিক সক্ষমতাবিহীন ব্যক্তিদেরকে হজে না নেয়ার জন্য হজ এজেন্সিসমূহকে অনুরোধ করছি।’
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘২০২৫ সালে আমরা একটি সুন্দর হজ উপহার দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ২০২৬ সালের হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২৬ সালের হজ গতবারের চেয়ে আরো উন্নত হবে।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘হজযাত্রী নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য আছে। এদের কারণে হজের খরচ বেড়ে যায়, আবার হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে থাকে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান ইব্রাহিম আবদুল্লাহ আল-আহমারী প্রমুখ।