মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর মোবারক হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায়ে বলা হয়, একাত্তরে মোবারক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়েছিল। একটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মোবারক হোসেন। চলতি বছরের ৮ জুলাই থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আজ তাকে খালাস দেন আপিল বিভাগ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন মোবারক হোসেন। গত ৮ জুলাই তার করা আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক হোসেন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীন দেশে জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘রুকন’ হন তিনি। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন মোবারক।