শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তীব্র যানজট

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ফেনীর মহিপালে কোব্বাদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

এ সময় ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ফাতিমা আক্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও দাবি শোনেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্ত চলাকালে প্রধান শিক্ষককে ছুটিতে পাঠিয়ে বিকল্পভাবে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বছরের মাঝে হঠাৎ করে রুটিন পরিবর্তন করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা হচ্ছে। যে যে বিষয়ের শিক্ষক আছেন, তাদের দিয়ে সে বিষয়ে ক্লাস নেয়া হয় না। দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়।

তারা আরও জানান, ২০২৫ সালের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ১০-১৫ হাজার টাকা নিয়ে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে ৯০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে মোট দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও তার কোনো হিসাব নেই। বিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করা হয়, প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা নেয়া হয়। স্কুল ভবন রাতের বেলায় ভাড়া দেয়া হয়, পানির ট্যাংক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি লাইব্রেরির টেলিভিশনও তিনি নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে জানান তারা।
 
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক একেএম জহির উদ্দিন কচি বলেন, ‘এনটিআরসি থেকে বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ১০ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নতুন শিক্ষককে দেয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আগের শিক্ষককে রাখতে চাইছিল। এ নিয়েই আন্দোলন শুরু হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

এ সময় ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা কান্তা, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


এ জাতীয় আরো খবর...