শিরোনামঃ
পিআরের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় নেমেছে: মির্জা ফখরুল পাল্টা হামলায় ৫৮ পাক সেনা হত্যার দাবি আফগানিস্তানের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে লাইভ চলাকালে ফেসবুক পেজে সাইবার হামলা: চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু ইতালির উদ্দেশে দেশ ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা একা গিয়ে কী করবো, সেফ এক্সিট নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব রক্ষায় সংশ্লিষ্ট অপরাধের সুষ্ঠু ও নির্মোহ বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: বিএনপির বিবৃতি আর কোনো সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই : প্রেস সচিব পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাবাহিনী
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

ফেনীতে জামায়াত অফিস পুড়িয়ে দেয়ার একযুগ পর মামলা, আসামী দেড়শ

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়ার এক যুগ পর মামলা হয়েছে। আলোচিত ওই ঘটনায় পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আরও ১শ থেকে দেড়শ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন জেলা জামায়াতের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান।
২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতর মামলার আবেদন করা হয়।
মামলায় অপর আসামীদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিষ্টার, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা রয়েছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আদেল ফুলগাজীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন।মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তি কোম্পানী রোডের আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসার উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসের কলাপসিল গেইটের তালা ভেঙ্গে আসামীরা ভিতরে প্রবেশ করলে দারোয়ান প্রাণভয়ে বের হয়ে যায়। তারা অতর্কিত গুলিবর্ষন ও বোমা ফাটিয়ে অফিস ভাংচুর করে। একপর্যায়ে গ্যারেজে থাকা একটি নোহা গাড়ি ও ২টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া হামলাকারীরা অফিসের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ভাংচুর ও অফিসের কাগজপত্র, বইপুস্তক তছনছ শেষে বিভিন্ন কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলেও শান্তি রোডে আটকে দেয়া হয়।

জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম জানান, ঘটনার পর সে সময়ে মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া এগুতে দেয়নি।

জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান জানান, আওয়ামীলীগ সারদেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তারা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বই-পুস্তক, গাড়ী, আসবাবপত্র পুড়িয়েছে।


এ জাতীয় আরো খবর...