২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর জেলা আদালতর মামলার আবেদন করা হয়।
মামলায় অপর আসামীদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিষ্টার, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা রয়েছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আদেল ফুলগাজীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন।মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তি কোম্পানী রোডের আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসার উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত জেলা জামায়াতে ইসলামীর অফিসের কলাপসিল গেইটের তালা ভেঙ্গে আসামীরা ভিতরে প্রবেশ করলে দারোয়ান প্রাণভয়ে বের হয়ে যায়। তারা অতর্কিত গুলিবর্ষন ও বোমা ফাটিয়ে অফিস ভাংচুর করে। একপর্যায়ে গ্যারেজে থাকা একটি নোহা গাড়ি ও ২টি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া হামলাকারীরা অফিসের নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার বিভিন্ন কক্ষের এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন ভাংচুর ও অফিসের কাগজপত্র, বইপুস্তক তছনছ শেষে বিভিন্ন কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে এলেও শান্তি রোডে আটকে দেয়া হয়।
জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম জানান, ঘটনার পর সে সময়ে মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ ভূয়া রিপোর্ট দিয়ে মামলাটি বিচার প্রক্রিয়া এগুতে দেয়নি।
জামায়াতের জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান জানান, আওয়ামীলীগ সারদেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তারা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বই-পুস্তক, গাড়ী, আসবাবপত্র পুড়িয়েছে।