ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, কৃষক নূর নবী এ দপ্তরকে অবহিত করেন, তিনি এই দোকান থেকে দু’দিন আগে কুমড়াসহ অন্যান্য সবজির কিছু বীজ ক্রয় করেন। বাড়ি গিয়ে লক্ষ্য করেন পুরনো ২০২২ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া বীজের প্যাকেটের ওপর ২০২৬ সালের ট্যাগ লাগানো হয়েছে। আগের মূল্য ৯০ টাকা থাকলেও নতুন করে ১৫০ টাকার ট্যাগ লাগানো হয়েছে। বিষয়টি পরের দিন দোকানীকে জানালে পাত্তা না দিয়ে দুর্ব্যবহার করেন ও পণ্য ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহিপাল এলাকায় তদারকি অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। এসময় বীজ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কৃষকের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মেসার্স জাহাঙ্গীর বীজ ভাণ্ডারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দোকানী এমন কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করে ক্ষমা চান। এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয়। এছাড়াও অভিযানে অনুমোদনহীন পণ্য বিক্রি করায় মেসার্স ছায়েরা স্টোরকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ সময় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে জেলা বিশেষ ট্রান্সপোর্ট টিমের সদস্যরা ও জেলা পুলিশের একটি দল অংশগ্রহণ করে।
ফেনী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, জনস্বার্থে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।