ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার তপনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
১০ আগস্ট (রবিবার) ফেনীর আদালতের বিচারক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ৮ আগস্ট ( শুক্রবার) রাতে রাজধানীরশা ন্তিনগরের ‘পরশুরাম ভবন’ নামক নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তপন ফেনীর পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ডা গ্রামের আবুল বশরের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত তপনের স্ত্রী সাদিয়া ইসলাম শিমু জানান, ডিবি পুলিশের সদস্যরা রাত দশটার দিকে বাসায় এসে তাকে আটক করে ডিবির মিন্টু রোড কার্যালয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি জানান, তপন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং গত কিছুদিন ধরে বাসায় অবস্থান করছিলেন।
রাতেই তপনকে ফেনী নেয়া হবে এবং এ বষয়ে সকালে ফেনীতে বিস্তারিত জানানোর কথাও বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে ছাত্রজনতার উপর হামলা ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপালে ছাত্র হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর গত ২০২০ সালের নভেম্বরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে প্রথমবার তপন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় মেয়াদে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তিনি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানেন মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বহিস্কার করে।
আরও পড়ুন: ফেনী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তপন আটক
খায়রুল বাশার মজুমদার তপন এর আগে পর পর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলের। কিন্তু দুবারই দলের নির্দেশে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ (ইনু) নেত্রী শিরিন আখতারকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের ধনীকুন্ডার ছেলে খায়রুল বাশার মজুমদার তপন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনেন পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। সম্প্রতি ঢাকায় এক ব্যাংকে তার দেখা মিলে। সে থেকে গোয়েন্দা জালে জড়িয়ে পড়েন তপন।