ইন্টার মায়ামির প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের মাসচেরানো নিশ্চিত করেছেন, লিওনেল মেসি সোমবার (১১ আগস্ট) ইন্টার অ্যান্ড কো স্টেডিয়ামে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচে খেলবেন না। ব্যস্ত সূচির কারণে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে ঝুঁকিতে ফেলতে চান না তিনি। ইএসপিএন
গত ২ আগস্ট নেকাক্সার বিপক্ষে লিগস কাপ ম্যাচে ডান পায়ে সামান্য পেশির চোট পান মেসি। চোট গুরুতর না হলেও ফেরার সুনির্দিষ্ট সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি। চিকিৎসার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করেই তার মাঠে ফেরা হবে।
মাসচেরানো বলেন, লিও ভালো আছে, কিন্তু সামনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়া বোকামি হবে। আমরা আশাবাদী, সে দ্রুত ফিরবে।
সোমবার (১১ আগস্ট) অরল্যান্ডো সিটির মুখোমুখি হওয়ার পর ইন্টার মায়ামি ১৬ আগস্ট লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিকে আতিথ্য দেবে। মাত্র তিন দিন পর লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে দলটি, যেখানে প্রতিপক্ষ মেক্সিকান ক্লাব টাইগ্রেস ইউএএনএল।
লিগস কাপে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে (টাইব্রেকারে জয়) ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে নকআউট পর্বে ওঠে ইন্টার মায়ামি। পুমাস ও অ্যাটলাসের বিপক্ষে জয়ের পাশাপাশি নেকাক্সার বিপক্ষে ড্র করেছিল তারা।
টাইগ্রেস সম্পর্কে মাসচেরানো বলেন, টাইগ্রেস দারুণ দল, মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের নিয়ে তারা সবসময় লিগ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিরোপার জন্য লড়ে।
তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের হাতে যা ছিল, আমরা করেছি। অল্পের জন্য গ্রুপসেরা হতে পারিনি। এখন প্রথমে দুটি এমএলএস ম্যাচে মনোযোগ দেব, তারপর লিগস কাপ ম্যাচে ফোকাস করব।
মাসচেরানো ব্যস্ত সূচির মাঝে খেলোয়াড়দের সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিলেও লক্ষ্য স্পষ্ট প্রতিটি ম্যাচ জেতা।
তিনি বলেন, আমরা চাই নিয়মিত মৌসুমের বাকি ১২ ম্যাচই জিততে। লিগস কাপে সুযোগ পেলে তিন ম্যাচই জিতব। লক্ষ্য একটাই প্রতিটি ম্যাচে জয়।
প্রসঙ্গত, এমএলএসে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১৮ গোল করে শীর্ষে আছেন মেসি, ন্যাশভিল এসসির স্যাম সুররিজের সঙ্গে যৌথভাবে। গোলের পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
মেজর লিগ সকারে টানা তৃতীয় বছর সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড় মেসি। এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তার বার্ষিক আয় ২০,৪৪৬,৫৫৭ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা)। এর মধ্যে মূল বেতন ১২ মিলিয়ন ডলার, বাকি অংশ মার্কেটিং, এজেন্ট ফি, চুক্তির অন্যান্য সুবিধা ও পারফরম্যান্স বোনাস থেকে আসে। মজার বিষয়, এই আয় ২১টি এমএলএস দলের মোট বেতনের চেয়েও বেশি।