আগামী নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে জুলাই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। স্থানীয় সময় ২৪ আগস্ট রোববার নিউ ইয়র্কে এক মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, সংস্কার, বিচার আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে; সংস্কার কমিশন গঠন করে সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পথেই রয়েছে।
কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা এবং কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
জুলাই অভ্যুত্থানের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। জুলাই ঘোষণার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গৃহীত হওয়ার পর এখন জুলাই সনদ নিয়ে কাজ চলছে।
জুলাই অভ্যুত্থান বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে স্পৃহা ছিল তা আগামীতেও নিয়মিত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম এই অগ্রসৈনিক।
স্বৈরাচারী হাসিনা প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাকে বিদায় করা হয়েছে উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ২০১৮ সালে যারা বিভিন্ন জেলায় ডিসি ছিলেন তাদের অনেকেই এখন প্রশাসনে নেই । সচিব পর্যায়েও অনেক পরিবর্তন হয়েছে ।
বাংলাদেশের অনলাইন সাংবাদিকতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম জানান, একটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রণয়নে তাদের মন্ত্রণালয় এবং এর সাথে সম্পৃক্ত আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। কোনো মিডিয়া বন্ধ বা কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পক্ষে নয় সরকার। তবে সঠিক সাংবাদিকতা এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা না থাকলে তাকে সাংবাদিকতা বলা যায় না, যেখানে স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বশীলতা রয়েছে সেই সাংবাদিকতা যুক্তিসঙ্গত।
কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রশ্ন করা নিয়ে হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হলে সভা শেষ না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আ. লীগের হামলা (ভিডিও)
এদিকে তথ্য উপদেষ্টার নিউ ইয়র্কে আগমনের প্রতিবাদে কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা । এক পর্যায়ে অফিসের প্রবেশ পথের দরজা ভাঙচুর করা হয় । পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।